
চট্টগ্রাম মহানগরে ইমতিয়াজ হোসেন নামে এক পুলিশ সদস্যকে ইয়াবাসহ আটকের পর ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযানে উদ্ধার করা ১ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা গায়েবের অভিযোগও উঠেছে বাকলিয়া থানার কয়েকজন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে।
সোমবার রাতে এ ঘটনা জানাজানি হলে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশে (সিএমপি) তোলপাড় শুরু হয়। এরই মধ্যে ঘটনাটি তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন সিএমপি কমিশনার।
অভিযুক্ত ইমতিয়াজ কক্সবাজার জেলা আদালতের এক বিচারকের গানম্যান হিসেবে কর্মরত। সিএমপির মুখপাত্র, অতিরিক্ত উপকমিশনার আমিনুর রশিদ বলেন, ‘বিষয়টি নজরে আসার পর তদন্তের জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন সিএমপি কমিশনার। আজই (মঙ্গলবার) এটি তদন্ত করতে সিএমপির উপকমিশনারকে (দক্ষিণ) অফিশিয়াল নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ’
জানা যায়, ৮ ডিসেম্বর রাতে বাকলিয়া থানার শাহ আমানত সেতু এলাকায় কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী একটি বাসে তল্লাশি চালায় বাকলিয়া থানা পুলিশ।
এ সময় ইমতিয়াজের ব্যাগ তল্লাশি করে ৯টি বক্সে ১ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। একপর্যায়ে ইমতিয়াজ নিজেকে পুলিশ সদস্য পরিচয় দিয়ে জানান, তিনি কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক রোকেয়া আক্তারের গানম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পরিচয় জানার পর বাকলিয়া থানার ওসি (তদন্ত) তানভীর আহমেদ ইয়াবাগুলো গায়েব করে তাঁকে ছেড়ে দেন। বিনিময়ে ইমতিয়াজের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের উৎকোচ গ্রহণ করেন পুলিশ সদস্যরা।
পুলিশের একাধিক সূত্র জানান, তিন বছর ধরে কক্সবাজার পুলিশ লাইনসে কর্মরত রয়েছেন ইমতিয়াজ। এ সময় তিনি বিভিন্ন ব্যক্তির গানম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। প্রতি মাসে তিনি একাধিকবার কক্সবাজার থেকে ঢাকায় যাতায়াত করেছেন। সর্বশেষ ৮ ডিসেম্বর রাতে তিনি ঢাকাগামী বাসে ওঠেন। তবে ওই দিন কর্ণফুলী ব্রিজ এলাকায় চেকপোস্টে আটক হলেও পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এরপর তিনি কুমিল্লার গ্রামের বাড়ি চলে যান। জানতে চাইলে বাকলিয়া থানার ওসি ইফতেখার উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি নজরে আসার পর নিজের মতো করে তদন্ত শুরু করেছি। তদন্ত শেষ হওয়ার পর এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারব। বিডি প্রতিদিন

পাঠকের মতামত